শীতকালে বয়স্ক রোগীদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যা সাহায্য করতে পারে
নিউমোনিয়া হল ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট একটি বিপজ্জনক সংক্রমণ যা ফুসফুসের বায়ু থলিকে স্ফীত করে। দুর্বল ইমিউন সিস্টেম, দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ব্যাধি, মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্স হ্রাস, কাশির প্রতিচ্ছবি হ্রাস এবং বিভ্রান্তির কারণে বয়স্ক রোগীরা বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ। শীতকালে শুষ্ক বাতাস, জনাকীর্ণ অভ্যন্তরীণ স্থান এবং কম শারীরিক ক্রিয়াকলাপের কারণে বিপদ বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকরা টিকা দেওয়ার সুপারিশ, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা পরিচালনা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, প্রাথমিক রোগ নির্ণয়, সঠিক ওষুধ নির্ধারণ এবং সহায়ক যত্ন প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করেন।
শীতকালে বয়স্ক রোগীদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যা সাহায্য করতে পারে
বয়স্ক রোগীরা সেভেরার জন্য নিউমোনিয়ায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ
হ্রাসকৃত মিউকোসিলিয়ারি ক্লিয়ারেন্সঃ মিউকোসিলিয়ারি সিস্টেম তৈরি করে এমন সিলিয়া এবং মিউকাস একসাথে কাজ করে ফুসফুস থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং জীবাণু অপসারণে সহায়তা করে। বয়সের সাথে সাথে মিউকোসিলিয়ারি সিস্টেমের অবনতি হয়, যা ফুসফুস থেকে সংক্রমণ অপসারণকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।
দুর্বল কাশির প্রতিক্ষেপঃ কাশির প্রতিক্ষেপ বাতাস থেকে ব্যাকটেরিয়া এবং উত্তেজক পদার্থ পরিষ্কার করে ফুসফুসকে রক্ষা করে। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের কাশির প্রতিচ্ছবি কম শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, যা নিউমোনিয়ার কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া আরও কঠিন করে তোলে।
শীতের ঋতু বয়স্ক রোগীদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়:
চিকিৎসা পদ্ধতি বয়স্ক রোগীদের নিউমোনিয়ার বিপদ প্রশমিত করার চেষ্টা করেন
প্রতিরোধ:
শীতকালে নিউমোনিয়া প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো:
- নিয়মিত হাত ধোয়া: ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা পেতে সাবান এবং পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। এটা বিশেষ করে খাবার আগে এবং বাইরে থেকে এসে করতে হবে।
- গরম পোশাক পরা: শীতের ঠান্ডা থেকে শরীরকে রক্ষা করতে গরম কাপড় পরা জরুরি, বিশেষ করে ঠান্ডা বাতাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য।
- ভ্যা কসিন নেয়া:নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর। শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভ্যাকসিন বিশেষভাবে জরুরি।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সুষম খাবার খাওয়া: ভালো স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- ধূমপান পরিহার করা: ধূমপান ফুসফুসকে দুর্বল করে এবং নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করা প্রয়োজন।
- ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্তদের থেকে দূরে থাকা: যাদের ঠান্ডা বা ফ্লু রয়েছে তাদের সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এই ধরনের রোগ থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে।
- বাড়ির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা: ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এবং ধূলিকণা ও জীবাণু দূর করতে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং বায়ুচলাচল ভালো রাখা উচিত।
.jpeg)

0 Comments